যখন ঘনায় রাত্রী পাথুরে শহরে

যখন ছড়ায় দীর্ঘশ্বাস আকাশ অধরে,

ঠিক তক্ষণি সস্তার মেকাপেতে মুখ ঢেকে

লাজ লজ্জার সংস্কারকে পিছে রেখে;

সেই সাধারণ মেয়েটা শহরে-

বিলোতে প্রেম রাস্তায় এসে দাঁড়ায়,

প্রেমহীন শহরের কদর্য লোকগুলো

তার কাছে প্রেম চেয়ে দু হাত বাড়ায়।

ঠিক তক্ষনি ঠিক তক্ষনি

মন্দির মসজিদ গীর্জায়

শুরু হয় পুঁজো আরাধনা,

বিশ্বপ্রেমের পাঠে শিক্ষিত হয় লোক

আঁকে প্রেমের আল্পনা;

সব পাপ দিয়ে আসে মানুষ দেবস্থানে

দেবতারা হাসে তুলে মাথা

মাঝ রাত্রীর হলে ফিরে যায় সেই মেয়ে

ঘরে রোজগার বারো টাকা।

সারা গায়ে কাল শীতে

ওও ক্ষিধের মাশুল

জীবন তরণী বায় স্রোত প্রতিকূল,

মুখ চেয়ে সন্ততি হাঁড়ি চড়েনা

বেজন্মা গালা গালে পেট ভরেনা;

ঠিক তক্ষনি এনে দিলো

এক রাশ সুবাতাস সেই রোজগার বারো টাকা

নেভাতে পেটের জ্বালা অবতার হয়ে এলো-

সেই রোজগার বারো টাকা

ঠিক তক্ষনি গোনা হয়-

প্রণামীর থালা লাটের ভাড়ার হয় পূর্ণ

দেবতাকে দিয়ে ঘুষ জমা রেখে সব পাপ

মানুষ বাড়ায় তার পূণ্য

সেই মেয়ে ভোর হলে শত বিদ্রুপ সয়

দেবতারা দেখে তুলে মাথা

সত্যি বিলোয় প্রেম সেই মেয়ে নিঃস্বারে

প্রণামী মাত্র বারো টাকা।